Monthly Archives: November 2014
অধিকার নয়, আদালতের দয়া

আজাদুর রহমান চন্দন

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাও সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য আবেদন করতে পারবে। তবে এটি এ ধরনের অপরাধীদের সাংবিধানিক অধিকার নয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নিজ ক্ষমতাবলে দেওয়া একটি সুযোগ বা দয়া। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার রিভিউ আবেদন খারিজ করার পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আসামি ১৫ দিনের মধ্যে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য এই আবেদন করতে পারবে। তবে রায়ের নির্ভরযোগ্যতায় ‘খাদ আছে’ বা ‘বিচার-বিভ্রাটের’ আশঙ্কা আছে বলে মনে করলেই আদালত তা পুনর্বিবেচনার জন্য গ্রহণ করবে।  Continue Reading →

অঢেল অর্থ ঢেলেও পার পেলেন না

আজাদুর রহমান চন্দন

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বানচাল করার লক্ষ্যে বিদেশে লবিস্ট নিয়োগসহ নানাভাবে শত শত কোটি টাকা খরচ করেও ফাঁসির দণ্ড থেকে রেহাই পেলেন না জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী। মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম অঞ্চলে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘বাঙালি খান সাহেব’ বা ‘সরদার’ নামে। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এই সদস্য ১৯৭১ সালে ছিলেন চট্টগ্রামের আলবদর কমান্ডার। মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে তিনি আলবদর হাইকমান্ডের তৃতীয় শীর্ষ পদে আসীন হন। একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি অভিযোগে গত ২ জুন তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরো আটটি অভিযোগে তাকে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড। Continue Reading →

নৃশংসতার গুণে একাত্তরেই পদোন্নতি হয়েছিল, অবশেষে মৃত্যুদণ্ড

আজাদুর রহমান চন্দন

চট্টগ্রাম শহরের নন্দনকানন টিঅ্যান্ডটি অফিসের পেছনের সড়কে এক হিন্দু পরিবারের মালিকানাধীন মহামায়া ভবনটি ১৯৭১ সালে আলবদর বাহিনী কেড়ে নিয়ে এর নাম দিয়েছিল ডালিম হোটেল। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত ডালিম হোটেলই ছিল চট্টগ্রামে আলবদর ও রাজাকারদের অন্যতম নির্যাতনকেন্দ্র। এ বন্দিশিবির ও নির্যাতনকেন্দ্রে আলবদরদের হাতে নির্যাতনের শিকার ও খুন হয়েছেন চট্টগ্রামের অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী বাঙালি। আর একাত্তরে ইসলামী ছাত্রসংঘের চট্টগ্রাম শহর শাখার সভাপতি হিসেবে সেখানকার আলবদরের প্রধান ছিলেন মীর কাসেম আলী। ওই সময় তাঁর নেতৃত্বাধীন আলবদর বাহিনীর নির্যাতনের স্মৃতি স্মরণ করে আজও শিউরে ওঠেন চট্টগ্রামের অনেক মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী বাঙালির বিরুদ্ধে মীর কাসেম আলীর নৃশংসতা এতটাই তীব্র ছিল যে একাত্তরের শেষ দিকে তাঁকে পূর্ব পাকিস্তান ইসলামী ছাত্রসংঘের সাধারণ সম্পাদকের পদে বসানো হয়েছিল। সেই সুবাদে আলবদর হাইকমান্ডেও ঠাঁই হয়। Continue Reading →