আজাদুর রহমান চন্দন
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি একাত্তরের নরঘাতকদের বিচার দেখার প্রতীক্ষায় কাটিয়েছে চার দশকেরও বেশি সময়। নানা অনিশ্চয়তা, হতাশা আর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর অবশেষে সেই প্রতীক্ষার অবসান শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে জাতির কলঙ্ক মোচন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়ায় প্রথম ফাঁসি কার্যকর হয়েছে বাংলাদেশের ৪৩তম বিজয় দিবসের প্রাক্কালে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে। সেদিন রাত ১০টা ১ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় কসাই কাদের নামে পরিচিত আলবদর কমান্ডার আবদুল কাদের মোল্লাকে। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর এই নেতার ফাঁসি কার্যকর করার মধ্য দিয়ে জাতির ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয়। এর মাধ্যমে একাত্তরের নির্মমতার বিচারহীনতা থেকে মুক্তি পেতে শুরু করে জাতি। অনেক দুর্বলতা, সীমাবদ্ধতা, গাফিলতি, চক্রান্ত সত্ত্বেও চলমান রয়েছে সেই বিচারকাজ। এরইমধ্যে গত ১১ এপ্রিল ফাঁসিতে ঝুলিয়ে প্রাণদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালীন ঘাতক আলবদর বাহিনীর বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রধান সংগঠক মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের, যিনি যুদ্ধের শেষ দিকে আলবদর হাইকান্ডেও ঠাঁই পেয়েছিলেন। কুখ্যাত সেই বদর বাহিনীর প্রধান আলী আহসান মুজাহিদের প্রাণদণ্ড বহাল আছে আপিলের রায়ে। এখন পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের অপক্ষায়। এসবই জাতির জন্য সুখবর। তবে চার দশকের কলঙ্ক মোচনের এই বিচার চলাকালে সময়ে সময়ে জাতির কাঁধে ভর করেছে ভয় আর হতাশা। Continue Reading →