একাত্তরে আলবদর বাহিনীর প্রধান ছিলেন মতিউর রহমান নিজামী। মুক্তিযুদ্ধে নিজেদের পরাজয় যখন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠে, তখন নিজামীর নেতৃত্বাধীন ওই জল্লাদ বাহিনীই পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে ধরে নিয়ে টর্চার সেলে নির্যাতনের পর বধ্যভূমিতে নিয়ে হত্যা করে নিষ্ঠুরতম কায়দায়। নিজামীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দল) উত্থাপন করা ফরমাল চার্জে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিবরণ থাকলেও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আকারে ছিল না। পরে অভিযোগ গঠনকালে ট্রাইব্যুনাল নিজ ক্ষমতাবলে নিজামীর বিরুদ্ধে ১৬ নং অভিযোগ হিসেবে এটি অন্তর্ভুক্ত করেন। এতে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে নিজামীর ‘সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি’ তুলে
ধরা হয়। এই অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ফাঁসির দণ্ড বহাল আছে আপিলের রায়েও।
ট্রাইব্যুনালের রায়ে নিজামীর বিরুদ্ধে এই অপরাধের প্রমাণ হিসেবে রাষ্ট্রপক্ষের পেশ করা যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে তার মধ্যে আমার লেখা ‘একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা’ বইটিও আছে।
ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের সেই অংশটুকু (রায়ের পৃষ্ঠা নং ১৫০) এখানে তুলে ধরা হলো :
There is another list of the names of Al-Badr High commands and the central committee of Islami Chhatra Sangha at pages 113, 114 of the book named ”একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা” [Ekattorer Ghatak O Dalalra], written by Azadur Rahman Chandan, 2nd edition, published in 2011 [first published in 2009] submitted by the prosecution under section 9(4) of the Act, 1973 wherein it is also stated that the accused was the commander of Al-Badr Bahini and president of the Central Committee of the Islami Chhatra Sangha.